মুহাম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীন
চেয়ারম্যান, শাহীন শিক্ষা পরিবার
president , SEF Foundation
প্রতিষ্ঠাতা , শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ
প্রিয় শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী ও শুভানুধ্যয়ীবৃন্দ ....
“শিক্ষার্থীদের সাফল্যই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য, শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতাই প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা”-এ উক্তিটিকে চিরন্তন সত্য বাক্য হিসেবে চিন্তাধারার মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি বলেই আজ সেরা মানের মানদন্ডে আপনাদের মনের মনি কোঠায় অন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে অবস্থান করছি। যার ফলে ‘শাহীন শিক্ষা পরিবার’ সমগ্র বাংলাদেশে সুনামের সাথে পথ চলতে সক্ষম হয়েছে। ছাত্র জীবনে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া কীভাবে আমার মত জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী সৈনিক এ সমাজ ব্যবস্থায় লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে পারে, সু-শিক্ষিত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে, সে চিন্তা চেতনা নিজের বিবেকবোধকে তাবিয়ে তোলে। ১৯৮৭ সন হতে ১৯৯১ সন পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ পাঁচ বৎসরের গৃহশিক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতার আলোকে অসংখ্য শুভাকাঙ্খী এবং সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতায় ১৯৯২ সনের ১লা ফেব্রুয়ারী শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নামহীন একটি শিক্ষা সহায়ক প্রতিষ্ঠান। প্রথম বৎসরের অভূতপূর্ব ফলাফলের কারণে দ্বিতীয় বৎসরের যাত্রা শুরু হয় বিজয়ের নতুন উদ্দীপনা নিয়ে। দ্বিতীয় বৎসরে পঞ্চম শ্রেণির ২য় ব্যাচ এবং ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ১ম ব্যাচের অলৌকিক সাফল্যে অভিভাবকের মুখে মুখে সেই নামহীন শিক্ষা সহায়ক প্রতিষ্ঠানের পাঠ পদ্ধতি, প্রয়োগ পদ্ধতি, আদায় পদ্ধতি প্রশংসার দাবীদার হয়ে দাঁড়ায়। সেই থেকে ‘শাহীন শিক্ষা পরিবার’ তার সত্যনিষ্ঠ শ্রম সাধনাকে অবলম্বন করে সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র শিক্ষা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলেছে। শাহীন শিক্ষা পরিবারের কার্যক্রম যে কোন মেধার শিক্ষার্থীকেই পৌঁছে দেবে তার নিজের প্রত্যাশার চেয়েও উন্নততর স্তরে।
বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষ সেবা পাচ্ছে ৭টি বিভাবে ২৮টি জেলাসহ পরোক্ষভাবে ৬৪টি জেলার শিক্ষার্থীবৃন্দ। এক নজরে ফলাফলই বলে দেয় প্রতিষ্ঠানের অবস্থান। যুগের চাহিদানুযায়ী আধুনিকত্বের ছোঁয়ায় গবেষণালব্ধ পদ্ধতিতে আরও পরিমার্জিত ধারায় ২০১৪ সনের ২৩তম বর্ষের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এ যাত্রায় সকলের সহযোগিতা আন্তরিকভাবে কামনা করছি।
স্বীয় স্মরণীয় বাণী- ‘শিক্ষার্থীদের সাফল্যেই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য, শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতাই প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা’-এ উক্তিটির তাৎপর্য অনুধাবন করে যতদিন সুনামের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার ঝলমলে আলোকবর্তিকা ছড়াতে পারবে ততদিন এর কার্যক্রম চালু থাকবে। ইনশাল্লাহ্।