Ibrahim khan College is a famous educational institute from British period. This college situated in the heart of Bhuapur. Principal Ibrahim Khan, a famous writer is the founder of this college.
ভূঞাপুর উপজেলা ও পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ এতদঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের প্রবেশদ্বার ‘ভূঞাপুর’ স্নিগ্ধ শ্যামলিমায় ঐশ্বর্যময়ী। ঢাকা-ভূঞাপুর, ঢাকা-তারাকান্দি রোড এবং যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু ভূঞাপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। রেল ও সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে ছায়া সুনিবিড় শান্ত ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ কলেজ যমুনা বিধৌত জনপদে শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর সরকারের আমন্ত্রণে পূর্ব-বাংলা মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করেন এবং ১৯৫৩ সালের ১৪ জুলাই অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে ভূঞাপুরের কিছু সংখ্যক বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির অনুরোধে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক সহযোগিতায় ভূঞাপুরে কলেজ প্রতিষ্ঠার মত দুঃসাহসিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৪৮ সালের ৪ এপ্রিল মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি করে ‘ভূঞাপুর কলেজ’ (বর্তমানে ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ) এর অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করে কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ১০২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ভূঞাপুর হাই স্কুলে অস্থায়ীভাবে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজের প্রথম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব হালিমুজ্জামান খান।
১৯৬২ সালে কলেজে বিজ্ঞান শাখা, ১৯৬৫ সালে বিএ ও বি.কম এবং ১৯৭২ সালে বি.এস.সি কোর্স খোলার মাধ্যমে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজের মর্যাদা লাভ করে।
১৯৭৮ সালে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ’র মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য কলেজটির নাম ‘ইবরাহীম খাঁ কলেজ’ নামকরণ করা হয়। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স খোলার অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, দর্শন, সমাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স, ১৯৯৭ সালে সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা ও প্রাণিবিদ্যা এবং ২০১৬ সালে বাংলা, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করার অনুমতি লাভ করে। ১৯৯৮ সালে কলেজটিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে কলেজে ০৫ টি বিষয়ে মাস্টার্স শেষ পর্ব, ০৫ টি বিষয়ে মাস্টার্স ১ম পর্ব, ১৮ টি বিষয়ে ¯œাতক পাস কোর্স, ১৯ টি বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদান করানো হয় এবং কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৭০০০ হাজার।
ঐতিহ্যবাহী এ কলেজটি ৭ একরের অধিক জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষক-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ১৮টি বাসা, ০৩টি মার্কেট, কলেজ গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব। এর রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও সুবিশাল ক্যাম্পাস। তৃণাচ্ছাদিত খেলার মাঠে সারা বছর ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ নানা ধরনের খেলাধুলার চর্চা হয়ে থাকে। দেশের অনেক প্রথিতযশা শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ এ কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের সংস্পর্শে অত্র এলাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিম-লে পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব। বিভিন্ন সময়ে অনেক মন্ত্রী, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন। ভূঞাপুর-গোপালপুরের বর্তমান মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপি বিভিন্ন সময়ে কলেজের নানা কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০০৯ সালে তাঁর একনিষ্ঠ কর্মী ও অনুসারী ভূঞাপুর পৌরসভার সম্মানিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাসুদুল হক মাসুদকে তিনি কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেন। তিনি কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে কলেজের বেদখলকৃত জায়গা-জমি উদ্ধার করে কলেজের সীমানা-প্রাচীর নির্মাণ করেন এবং কলেজের সামগ্রিক কর্মকা-ে গতিশীলতা আনেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য-স্বাধীন দেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে শিক্ষা-বিস্তারের পথ অবারিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৩০ জুন ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ভূঞাপুর রেল স্টেশন উদ্বোধনকালে অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী, অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে কলেজটি জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
গভর্নিং বডি’র সভাপতি জনাব মাসুদুল হক মাসুদের নেতৃত্বে জাতীয়করণের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে তাঁর সভাপতির মেয়াদ পূর্ণ হলে সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মুজিব নগর সরকারের অর্থ সচিব বর্তমান ভূঞাপুর-গোপালপুরের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন জন-প্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপি। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ দৃষ্টি ও সুবিবেচনায় ১১ অক্টোবর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে কলেজটির জাতীয়করণ হয়। কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও বার্ষিক ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা এবং আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজয় অর্জনের গৌরব রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুশৃঙ্খল ও নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস্ ইন রোভার এবং রেডক্রিসেন্ট-এর সুদক্ষ ইউনিট রয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশপ্রেম ও ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে চিরকাল। ক্যাম্পাস। তৃণাচ্ছাদিত খেলার মাঠে সারা বছর ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ নানা ধরনের খেলাধুলার চর্চা হয়ে থাকে। দেশের অনেক প্রথিতযশা শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ এ কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের সংস্পর্শে অত্র এলাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিম-লে পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব।
বিভিন্ন সময়ে অনেক মন্ত্রী, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন। ভূঞাপুর-গোপালপুরের বর্তমান মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপি বিভিন্ন সময়ে কলেজের নানা কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০০৯ সালে তাঁর একনিষ্ঠ কর্মী ও অনুসারী ভূঞাপুর পৌরসভার সম্মানিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাসুদুল হক মাসুদকে তিনি কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেন। তিনি কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে কলেজের বেদখলকৃত জায়গা-জমি উদ্ধার করে কলেজের সীমানা-প্রাচীর নির্মাণ করেন এবং কলেজের সামগ্রিক কর্মকা-ে গতিশীলতা আনেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য-স্বাধীন দেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে শিক্ষা-বিস্তারের পথ অবারিত করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৩০ জুন ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ভূঞাপুর রেল স্টেশন উদ্বোধনকালে অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী, অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে কলেজটি জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। গভর্নিং বডি’র সভাপতি জনাব মাসুদুল হক মাসুদের নেতৃত্বে জাতীয়করণের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে তাঁর সভাপতির মেয়াদ পূর্ণ হলে সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মুজিব নগর সরকারের অর্থ সচিব বর্তমান ভূঞাপুর-গোপালপুরের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন জন-প্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব খন্দকার আসাদুজ্জামান এমপি। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ দৃষ্টি ও সুবিবেচনায় ১১ অক্টোবর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে কলেজটির জাতীয়করণ হয়। কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও বার্ষিক ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা এবং আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজয় অর্জনের গৌরব রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুশৃঙ্খল ও নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস্ ইন রোভার এবং রেডক্রিসেন্ট-এর সুদক্ষ ইউনিট রয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশপ্রেম ও ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে চিরকাল।