Beautiful Amtali 4.92

4.9 star(s) from 36 votes
Amtali,Barguna,barishal,bangladesh
Barisal, 8710
Bangladesh

About Beautiful Amtali

Beautiful Amtali Beautiful Amtali is one of the popular place listed under Public Places in Barisal ,

Contact Details & Working Hours

Details

চন্দ্রদ্বীপঃ দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তার কালে রাজা দনুজমর্দন কর্তৃক ‘‘চন্দ্রদ্বীপ’’ নামে একটি সাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। দতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত এ অঞ্চল চন্দ্রদ্বীপ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। অতি প্রাচীন বৈদেশিক মানচিত্রে চন্দ্রদ্বীপ নাম বড় অক্ষরে অংকিত দেখা যায়। ১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ জেলা বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৭৯৭ ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে বাকেরগঞ্জ, ১৮০১ বাকেরগঞ্জ জেলাকে বরিশালে (গিরদে বন্দর) স্থানান্তরিত করা হয়। ১৮১২ সালে এ জেলায় ১৫ টি থানা ছিল। পাকিস্তান আমলে বরিশাল জেলায় মোট ০৬ টি মহকুমা ছিল । ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী ও বরগুনা মহাকুমার সমনয়ে পটুয়াখালীতে একটি জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাসের ফলে ১৯৮৪ সালে বরগুনা একটি নতুন জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জেলাগুলো হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠী ।

১৮৫৯ সালে বর্তমানে আমতলী, বরগুনা ও কলাপাড়াকে নিয়ে গুলিশাখালী থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় পায়রা নদীর পাড়ে গুলিশাখালী গ্রামে। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালীকে মহকুমায় রূপান্তর করা হলে গুলিশাখালীকে তার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯০১ সালে নদী ভাঙ্গনের কারণে থানা সদর বর্তমান আমতলী এ, কে, স্কুল সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৪৪ সালে গুলিশাখালী আমতলী থানায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালে আমতলী থানা উপজেলায় রূপলাভ করে।

বর্তমান আমতলী ১টি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন, ৬৬টি মৌজা ও প্রায় ২০০টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এর আয়তন প্রায় ৬৯৫ বর্গ কিলোমিটার তন্মধ্যে জলাশয় ও প্রশস্ত নদী প্রায় ২১২ বর্গ কি.মি. ।।

নামকরন

লোকশ্রুতি আছে যে, সুদূর অতীতকালে পায়রা নদীর তীরে বহু আম গাছ ছিল। মাঝিরা তাদের নৌকা বাঁধত সেই আম গাছের সাথে। নৌকা বাঁধার স্থানটি কালে কালে হয়ে যায় আমতলা থেকে আমতলী।

অন্যদিকে, পায়রা নদীর একটি প্রবাহ আমতলী বন্দরের পূর্ব দিক দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে আমতলী নদী প্রবাহিত হয়েছিল। নৌযান চলাচল মুখরিত আমতলী নদীর তীরে পাঠান আমলে গড়ে ওঠেছিল জনবসতি ও বাণিজ্যিকেন্দ্র। মোগল যুগে পায়রা নদীতে মগ, পর্তুগীজদের লুণ্ঠন ও অত্যাচার বেড়ে গেলে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আমতলী নদীই ছিল একমাত্র ভরসা। এ নদীর নাম অনুসারে এলাকার নাম হতে পারে আমতলী।
আবার, অতীতে আমতলী যখন অরণ্য আচ্ছাদিত হয়ে দুর্গম এলাকা হিসেবে ছিল তখন আরকান থেকে আগত জনৈক আমপাটি নামক মগ দলপতি ইংরেজি সরকার থেকে ইজরা নিয়ে আমতলী প্রথম আবাদ শুরু করে ছিলেন। সম্ভবতঃ আমপারিট মগের নাম অনুসারেও এলকায় নাম আমতলী হতে পারে।

সীমা-আয়তনঃ

১৮৫৯ সালে বর্তমানে আমতলী বরগুনা ও কলাপাড়াকে নিয়ে গুলিশাখালী থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় পায়রা নদীর পাড়ে গুলিশাখালী গ্রামে। ১৮৭১ সালে পাটুয়াখালীকে মহকুমায় রূপান্তর করা হলে গুলিশাখালীকে তার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯০১ সালে নদী ভাঙ্গনের কারণে থানা সদর বর্তমান আমতলী এ,কে, স্কুল সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৪৪ সালে গুলিশাখালী আমতলী থানায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালের ৩/১১ আমতলী থানা উপজেলায় রূপলাভ করে।
বর্তমান আমতলী ১টি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন, ৬৬টি মৌজা ও প্রায় ২০০টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এর আয়তন প্রায় ৬৯৫ বর্গ কিলোমিটার তন্মধ্যে জলাশয় ও প্রশস্ত নদী প্রায় ২১২ বর্গ কি. মি. জুড়ে আছে।

অবস্থানঃ
ভৌগোলিকভাবে আমতলী প্রায় ২১০৫১ ও ২২০১৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০০০২ ও ৯০০২৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে পটুয়াখালী সদর, দক্ষিণ পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে পটুয়াখালীর গলাচিপা ও কলাপাড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে বুড়ীশ্বর বা পায়রা নদী। এ নদী বরগুনা জেলা সদর থেকে আমতলীকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।


জলবায়ুঃ
আমতলীতে ষড়ঋতুর মধ্যে প্রধানত তিনটি মৌসুম জোরালোভাবে পরিলক্ষিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। মার্চ ও এপ্রিল মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময় বাতাস খুবই উত্তপ্ত হয় এবং জলীয় বাসেপর পরিমাণ কম থাকে।
চরম উষ্ণতায় (এপ্রিল মাসে) তাপমাত্রা ৪১.১০ সেঃ পর্যন্ত হয়। বর্ষা মৌসুম সাধারণত মে হতে অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। শতকরা ৯০% বর্ষণ এ সময়ে হয়।
শীতকাল আরম্ভ হয় November আর শেষ হয় ফেব্রুয়ারী মাসে। এ মৌসুম অত্যন্ত শুষ্ক ও শীতল।
বৃষ্টিপাতের মাসিক হার ৭৫ মি.লি. কম বলে এ সময়কে শুষ্ক মাস বলা চলে। চরম শীতে তাপমাত্রা ৫.৬০ সেঃ এ নেমে আসে।

ভূ-প্রকৃতিঃ
আমতলী থানার ভূ-প্রকৃতি প্রায় সমতল কটাল পললভূমি দিয়ে গঠিত এবং এ এলাকা বর্ষাকালে সল্পগভীরভাবে প্লাবিত হয়। এখানে নদীর পার্শ্ববর্তী সংকীর্ণ ডাঙ্গ জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু ও দোঁ-আশ জাতীয় পলি দিয়ে গঠিত এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় সমতল বিল জমি অপেক্ষাকৃত নীচু ও এটেল পলি দিয়ে গঠিত। এ পলল ভূমির সমূদয় পলি গঙ্গা নদীর উতস হতে আগত।

আমতলীর লোকচরিত্রঃ
আমতলী উপজেলায় আয়তনের অনুপাতে জনসংখ্যার পরিমাণ কম। ফলে এক একটি বাড়ী বেশ খোলামেলা জায়গা নিয়ে তৈরী হয়। শহর ও গঞ্জের চিত্র ভিন্ন হলেও সাধারণত গ্রামে এ চিত্রই চোখে পড়ে। অধিকাংশ পরিবার অনেক ভুমি নিয়ে বসবাস করেন। ঘন গাছ-পালা আচ্ছাদিত ও পরিখাবেষ্টিত এসব বাড়ী সাধারণত বিচ্ছ্‌িন অবস্থায় থাকে। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ ও সাতনত্র্যবোধ পরিলক্ষিত হয়। কিছু ব্যতিক্রম চাড়া বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান প্রবণতার অভাব দেখা যায়। আমতলীর লোকচরিত্র অনেক ভদ্র, ও পরিশীলিত। তাঁরা অতিথিপরায়ণ, নম্র এবং ইতিবাচক মানসিকতার অধিকারী।

ভূ-প্রকৃতিঃ
আমতলী থানার ভূ-প্রকৃতি প্রায় সমতল কটাল পললভূমি দিয়ে গঠিত এবং এ এলাকা বর্ষাকালে সল্পগভীরভাবে প্লাবিত হয়। এখানে নদীর পার্শ্ববর্তী সংকীর্ণ ডাঙ্গ জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু ও দোঁ-আশ জাতীয় পলি দিয়ে গঠিত এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় সমতল বিল জমি অপেক্ষাকৃত নীচু ও এটেল পলি দিয়ে গঠিত। এ পলল ভূমির সমূদয় পলি গঙ্গা নদীর উৎস হতে আগত।

আমতলীর নদ-নদীঃ
১) পায়রা/বুড়ীশ্বর নদী ২) আন্ধারমানিক নদী ৩) গুলিশাখালী নদী ৪) কুকুয়া নদী ৫) চাওড়া নদী ৬) আমতলী নদী ৭) টিয়াখালী নদী ৮) আড়াপাঙ্গাশিয়া নদী ৯) কচুপাত্রা দোন ১০) বড় বগীর খাল ১১) বগীর দোন।

কৃষিঃ
এখানকার কৃষি ব্যবস্থা মান্ধাতা আমলের। বর্তমানে কিছুক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে
চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
আমতলী উপজেলায় মোট কৃষি পরিবারঃ ৪৭,৪০৩ আছে
নীট ফসলী জমিঃ ৩৮,৫০০ হেক্টর।
খাদ্যশস্য উতপাদনঃ৬৭২৮৭ মেট্রিক টন।
প্রধান ফসলঃ ধান, খৈসারী, মুশুরী, মুগ, আলু, মরিচ, কুমড়া, তরমুজ, ইত্যাদি।

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানঃ
ডিগ্রী বলেজঃ ৩টি । উচ্চ মাধ্যমিক কলেজঃ ৪টি। কারিগরী কলেজঃ ১টি । মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৩৪টি । জুনিয়ার বিদ্যালয়ঃ ৩২টি । সিনিয়র মাদ্রাসাঃ ৪টি। আলিম মাদ্রাসাঃ ৬টি । দাখিল মাদ্রাসাঃ৩০টি । সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১০১টি । বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৯৯টি । কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১৬টি । এবদেতায়ী মাদ্রাসাঃ ৪৩টি ।

ধর্ম বিশ্বাসঃ
আমতলীতে মুসলিম, হিন্দু এবং বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের লোকের বসবাস।
মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আমমতলীর ১৩টি পাড়ায় ২৫৩ টি বৌদ্ধ পরিবারে মাত্র ১১৮৫ জন লোক বাস করে। এখানকার বৌদ্ধরা রাখাইন উপজাতিভূক্ত।
মুসলমান সমপ্রদায় ধর্মভীরু, নিরাকারবাদী ও পরলোকে আস্থাশীল।
হিন্দুগণ সাকারবাদী এবং কোন না কোন দেব দেবীর উপাসক।
আমতলীর রাখাইন সমপ্রদায় বৌদ্ধ তারা অহিংসাকে পরম ধর্ম বলে মনে করে। রাখাইনরা সরল, সত্যনিষ্ঠ। রাখাইনেরা অরণ্য আবাদে অত্যন্ত দক্ষ। রাখাইন সমপ্রদায়ের লোকজন প্রধানতঃ বড়বগী ইউনিয়নে এবং কয়েকঘর পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে বসবাস করে। উপজেলার অন্যত্র তাদের বসবাস নাই।
কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর ও খাকদোন গ্রামে আহম্মদী মুসলিম জামাত আছে তারা বিত্তশালী, শান্তিপ্রিয় ও নিরীহ বলে পরিচিত।


-------------------------------------- www.amtali.com---------------------------------

Map of Beautiful Amtali

Updates from Beautiful Amtali

Reviews of Beautiful Amtali

   Loading comments-box...