জিয়া উদ্যান 5.44

4.2 star(s) from 126 votes
Sher-E Bangla Nagar, Dhaka, Bangladesh
Dhaka, 1225
Bangladesh
Add Review

About জিয়া উদ্যান

জিয়া উদ্যান জিয়া উদ্যান is one of the popular place listed under Public Places in Dhaka , Historical Place in Dhaka , Lake in Dhaka , Park in Dhaka ,

Contact Details & Working Hours

Details

জিয়া উদ্যান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশেই এটি অবস্থিত। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি এখানে অবস্থিত। সমাধিকে কেন্দ্র এখানে মাজার কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই মাজার দেখতে আসেন। শহরের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাত ভ্রমণকারীদের জন্য এটি একটি উত্তম স্থান। ঢাকা শহরের উদ্যানগুলির মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্ত্বপুর্ণ একটি উদ্যান।

নামকরণ :
----------
প্রথম দিকে এই উদ্যানের নামকরণ করা হয়েছিল "চন্দ্রিমা উদ্যান"। এই নামকরণের প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু মতামতও পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, এখানে চন্দ্রিমা নামে একজনের বাড়ি ছিল, সেখান থেকেই এই নামের উৎপত্তি। আবার কারো কারো মতে, দক্ষিনপাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ক্রিসেন্ট লেকের সাথে মিল রেখে রাষ্ট্রপতি এরশাদ এর নাম চন্দ্রিমা উদ্যান রেখেছিলেন। দীর্ঘদিন একে গবাদিপশুর খামার, খাস জমি এবং চাষাবাদ জমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে এই স্থানে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সমাধিস্থ করা হয় এবং এলাকাটিকে পরিষ্কার করে দর্শণার্থীদের জন্য মনোরম স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। পরবর্তী সময়ে মরহুম জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর চন্দ্রিমা উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে একে জিয়া উদ্যান নামকরণ করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জিয়া উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে আবার চন্দ্রিমা উদ্যান করেছিল। পরে বিএনপি এসে সেটার নাম পরিবর্তন করে জিয়া উদ্যান নাম করে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার আবার নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রিমা উদ্যান রেখেছে। এখন এই স্থানটি কারো কাছে চন্দ্রিমা উদ্যান আবার কারো কাছে জিয়া উদ্যান নামে পরিচিত।

অবস্থান ও আয়তন :
--------------------
জিয়া উদ্যানটি শেরে বাংলানগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। জিয়া উদ্যানের দক্ষিনে জাতীয় সংসদ ভবন, উত্তরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও বানিজ্যমেলার মাঠ, পশ্চিমে গণভবন এবং পুর্বে তেজগাঁও পুরানা বিমানবন্দর অবস্থিত। এটির অবস্থান 23°45′59″N, 90°22′43″W। এ উদ্যানটি ৭৪ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

সমাধি কমপ্লেক্স :
----------------
জিয়া উদ্যান ও শহীদ জিয়ার সমাধি কমপ্লেক্স দেশের একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। প্রতিদিন ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন এই সমাধি কমপ্লেক্স ও উদ্যান দেখার জন্য। উদ্যানে ভ্রমণ করে হাজার হাজার মানুষ। জিয়া উদ্যানে শহীদ জিয়ার সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয় ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে। ৭৪ একর জমির বিশাল সবুজ শ্যামলিমায় এর অবস্থান। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। সমাধির পুর্ব ও পশ্চিমে রয়েছে কেন্টিন, দক্ষিনে ঝুলন্ত সেতু, উত্তরে মেমোরিয়াল হল ও মসজিদ।

ক্রিসেন্ট লেক ও পোয়ারা :
------------------------
জিয়াউর রহমানের সমাধির দক্ষিন পাশে ক্রিসেন্ট লেক অবস্থিত। এটি বাঁকা চাঁদের মত দেখতে বিধায় ক্রিসেন্ট লেক নাম রাখা হয়েছে। এটির দক্ষিন পাশে চমৎকার করে সিড়ি তৈরি করা হয়েছে ও দর্শণার্থীদের বসার স্থান করা হয়েছে চারপাশজুড়ে। ভিতরে প্রবেশের জন্য লেকের মাঝখান দিয়ে তৈরি হয়েছে মনোরম সেতু। ক্রিসেন্ট লেকের মাঝে ঝুলন্ত সেতুর দুই পাশে দুটি পোয়ারা রয়েছে। সন্ধ্যারর পর পোয়ারাগুলো চালু করা হলে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।

ঝুলন্ত সেতু :
------------
শহীদ জিয়ার সমাধিতে যাওয়ার জন্য ক্রিসেন্ট লেকের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। নয়নাভিরাম ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদের স্থপতি লুই আই ক্যানের মাস্টারপ্ল্যান নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জিয়া উদ্যানের আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। কাজের সময় প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বিস্তৃতিকে। ২০০৪ সালের ৭ই নভেম্বর ব্রিজটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ও প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাঁকা চাঁদো লেক বা ক্রিসেন্ট লেকের ওপর স্থাপিত হয়েছে এই সাসপেন্ট ব্রিজটি। এই সেতু সংসদ ভবনের উত্তর পাশ থেকে সমাধি পর্যন্ত জায়গাটিকে দিয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য। অর্ধচন্দ্রাকৃতির সেতুটি বিশেষত্ব হল বিশেষভাবে স্টিল হ্যাঙ্গারের ওপর তৈরি হয়েছে। দাঁড়িয়ে আছে সিঙ্গেল আরসিসি আর্চের ওপর। হ্যাঙ্গার পাইপ দিয়ে বিশেষ কৌশলে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ব্রিজের ওজন। আর্চটি ত্রিমাত্রিক কনক্রিট দিয়ে তৈরি। বিদেশিরা এটা করে থাকেন স্টিল দিয়ে। সেতুর পাটাতন বা ডেকে বসানো হয়েছে আধুনিক উন্নত মানের গ্লাস।

বিদেশ থেকে আমদানি করা ওই গ্লাসের নাম টেম্পারড গ্লাস। এর পুরুত্ব ৩১ মিলিমিটার। মাঝে ভিপিএফ দিয়ে দু’টি গ্লাস পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। হট ডিডপ গ্যালভানাইজিং স্টিল ফ্রেমের ওপর টেম্পারড গ্লাস বসানো। সেতুর কম্পন মাত্রা ৫ হার্জ, লাইভ লোড ১৪০ পিসিআই এবং ব্রিজের ওজন ১২০ টন। আর ব্রিজটি ওজন সইতে পারে ২০০ টনেরও বেশি। ব্রিজটির রেলিং তৈরি করা হয়েছে অ্যাসেস স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে। মাঝে আছে স্টিলের চিকন ক্যাবল। সেতুর নিচে স্থাপন করা হয়েছে ৩০ বিশেষ ধরনের লাইট। পাটাতন থেকে রঙিন আলোর বিচ্ছুরণ সেতু পথটিকে আলোকময় রাস্তায় পরিণত করে। ঝুলন্ত সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব পাশে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ফোয়ারা। উপরের দিকে ধাবমান ফোয়ারার পানি আর সেতুর আর্চ মিলে চতুর্মাত্রিক আবহ সৃষ্টি করে এখানে আগন্তকদের মনে। সেতুর গোড়ার দিকে মাটির নিচ থেকে নেমে এসেছে রঙিন পানির ঝরনা। সেতুর ওপরে মাঝখানে রয়েছে কৌণিক রঙিন আলোর বিচ্ছুরণ। দেশের প্রতিটি অন্ধকার কোনায় আলো ছড়িয়ে দেয়ায় এর মূল থিম।

সমাধি :
-------
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ভোর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শহীদ হন। পরদিন তার লাশ চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৭ মাইল দূরে রাঙ্গুনিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশে পাহাড়ের ঢালুতে দাফন করা হয়। সেখান থেকে ১লা জুন জিয়াউর রহমানের লাশ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। মানিক মিয়া এভিনিউতে ওই সময় স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা শেষে তৎকালীন চন্দ্রিমা উদ্যানে তার লাশ দাফন করা হয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে জিয়া উদ্যান হিসেবে নামকরণ করা হয়।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মূল সমাধির নকশা করেছিলেন প্রয়াত স্থপতি রাজিউল আহসান। সংসদ ভবনের সঙ্গে একই সরল রেখায় এর অবস্থান। সমগ্র উদ্যানের রাস্তা, অন্যান্য অবকাঠামো বিন্যাস্ত হয়েছে এই সমাধির কেন্দ্র থেকেই। সমাধির পুর্ব ও পশ্চিমে রয়েছে কেন্টিন, দক্ষিনে ঝুলন্ত সেতু, উত্তরে মেমোরিয়াল হল ও মসজিদ। সমাধিকে ঘিরে সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি হয়েছে ৩৬ ফুট ব্যসের বেদি। মূল কবর এবং বেদির মাঝে বসানো হয়েছে কালো রংয়ের ট্রান্সপারেন্ট পাথর। বৃত্তাকার বেদির বাইরে চারপাশে মার্বেল পাথরে বসানো চত্বর। সমাধির ওপরে স্থাপন করা হয়েছে স্টিল ও গ্লাসের তৈরি স্বপ্নিল চাঁদোয়া ছাউনি যা ভূমি থেকে ৩৭ ফুট উচ্চতায় রয়েছে।সমাধির চারপাশের কনক্রিটের দেয়ালে সংযোজিত হয়েছে ট্রান্সপারেট ফেয়ার ফেস। যাকে বলা হয় ফেয়ার ফেস কনক্রিট ব্লক। বাইরের কনক্রিটের দেয়ালের ওপর হেলান দিয়ে আছে সবুজ ঘাসের সুশোভিত চত্বর। সমাধিতে প্রবেশের রাস্তা রয়েছে চারটি। উদ্যানের সুবিন্যাস্ত রাস্তাগুলো আপন গন্তব্যে চলে গেছে এই চার রাস্তার উৎস থেকে। সব মিলিয়ে সমাধির অভ্যন্তরীণ আয়তন হচ্ছে ১৪ হাজার ৪০০ বর্গফুট।

মসজিদ ও মেমোরিয়াল হল :
---------------------------
সংসদ ভবনের উত্তর পাশের প্রধান ফটক থেকে একই সরল রেখায় ঝুলন্ত সেতু, সমাধির ছাউনির চূড়া এবং মসজিদের মিনারের কেন্দ্র। উদ্যানের উত্তর পাশে নির্মিতব্য দ্বিতল ভবনের উপর রয়েছে মসজিদ। ওই ভবনে রয়েছে বিশ্রামের জায়গা। নিচে আর্কাইভ ও গবেষণাগার, পাঠাগার ও ১০০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি সেমিনার হল। এটি ২০০৬ সালের ১৯শে মার্চ উদ্ভোধন করেন তৎকালীন গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটার কাজ সম্পন্ন হয়নি।

সুশোভিত বাগান :
-----------------
জিয়া উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম চত্বরে রয়েছে দু’টি সুশোভিত বাগান। তাতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুল আর পাতা বাহারের সমাহার। লাগানো হয়েছে দেশি-বিদেশি সবুজ ঘাস ও গাছগাছালি। বাগানে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছ। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গাছগুলো হচ্ছে, পাম গাছ, ঝাউ গাছ, আকাশিয়া গাছ, আম গাছ, কাঠাল গাছ, বকুল গাছ, ক্যাক্টাস , জারুল, খরখরিয়া, সাইকাস পাম, অ্যারাবিয়ান জেসমিন, কৃষ্ণচূড়া, আমলকি, হরিতকী, নিম, মেহগনি সহ নানা প্রকারের কড়ই ইত্যাদি।

খোলা চত্বর :
------------
বাগানের মধ্যে রয়েছে খোলা চত্বর, যা ওপেন থিয়েটার বা পথ নাটকের জন্য একটি আদর্শ স্থান। পূর্ব ও পশ্চিম অক্ষ বরাবর সুদৃশ্য দু’টি ল্যান্ডস্কোপের মাধ্যমে করা হয়েছে এই খোলা চত্বর। উদ্যানে যারা প্রাত্যহিক ভ্রমণ, বিশ্রাম বা সমাধি জিয়ারতের জন্য আসেন তাদের জন্য রাস্তাগুলো তৈরি রয়েছে আলাদাভাবে। এখানে টয়লেট, বিশ্রামাগার, ফাস্টফুটের দোকান, বসে বিশ্রাম নেয়ার জন্য চমৎকার সব বেঞ্চ রয়েছে। বসার স্থানগুলোয় সাদা পাথর বসানো হয়েছে। রোদ-বৃষ্টিতে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে ছাউনি। সমাধি কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক সিটিভি ক্যামেরা। কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় পুরো এলাকার নিরাপত্তা ও সাউন্ড সিস্টেম। রাস্তায় লাইট পোস্টের সঙ্গে রয়েছে গোপন সাউন্ড বক্স, যা এখানে আসা আগন্তুকদের জন্য এক নতুন চমক। বিভিন্ন সময় বক্সগুলোতে বাজানো হয় কোরআন তেলাওয়াত, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি। এ ধরনের সাউন্ড বক্স সেতু ও সমাধির চারপাশেও সংযোজন করা হয়েছে।

পুকুর :
-------
শহীদ জিয়ার সমাধির পূর্ব ও পশ্চিম পাশের উদ্যানের ভেতরে আছে দু’টি পুকুর। এ দু’টি পুকুরকে সংস্কার করে দর্শনীয় করার জন্য শানবাঁধানো ঘাট করা হয়েছে। আগেই পুকুরের মাঝখান দিয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। ওই সময় প্রকৌশলীরা এগুলো অর্নামেন্টাল ব্রিজ বা অলঙ্কারিক সেতু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রকৌশলীরা ওই সময় পুকুরগুলোকে ইলিপস বা ডিম্বাকৃতির রূপ দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পুকুরের ওপরের সেতুগুলো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি।

শরীর চর্চা নিয়ে উদ্যান :
------------------------
প্রতিদিন প্রভাত বেলা ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পযর্ন্ত এখানে চলে বিভিন্ন দলে, বিভিন্ন নামে ভাগ হয়ে গ্রুপ ভিত্তিক শরীরচর্চা। এখানে যে সব শরীরচর্চার গ্রুপ গুলো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রুপ হচ্ছে প্রায় ১০০০ সদস্যের “চন্দ্রিমা ফিটনেস ক্লাব”, যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফিটনেস ক্লাব হিসাবে পরিচিত। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে শরীরচর্চাবিদ ওস্তাদ আমির হোসেনের আন্তরিক নিদের্শনার মধ্যে দিয়ে সর্ম্পূণ ফ্রিতে এক সাথে ৪০০ থেকে ৫০০ জন লোক নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করেন এই ক্লাবে। যেখানে দেশের সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী থেকে শুরু করে চালের আড়তদার পর্যন্ত সবাই এক কাতারে, একই সাথে শরীরচর্চা করে থাকেন। এই ক্লাবের একটি আলোচিত শ্লোগান হলো “সকাল বেলার হাওয়া, কোটি টাকার দাওয়াহ্”। এছাড়া ইন্সেটক্টর সেলিমের নির্দেশনায় “শুভ্র সকাল” প্রায় ১০০ সদস্যকে শরীরর্চচা করায়। এছাড়া ছোট ছোট দল গুলোর মধ্যে “ভোরর শিশির”, “বন্ধন ফিটনেস ক্লাব”, “প্রভাতে চন্দ্রিমা”, “ভোরর শিশির ফিটনেস ক্লাব”, “চন্দ্রিমা আলাপন ফিটনেস ক্লাব” উল্লেখযোগ্য। প্রতিশুক্র বার টাকার বিনিময়ে শরীরর্চচা ও কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে “ডায়মন্ড মার্শাল আর্ট ট্রেনিং সেন্টার”। এছাড়াও আছে বাচ্চাদের স্কেটিং শেখার সুব্যবস্থাও রয়েছে।

সার্বিক ব্যবস্থাপনা :
-------------------
চন্দ্রিমা উদ্যানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ত্বে রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনটি বিভাগের উপর পার্কের ব্যাবস্থাপনার দায়িত্ত্ব রয়েছে।

> গণপূর্ত: পার্কের কাঠামোগত যাবতীয় নির্মাণ এবং দেখাশুনার দায়িত্ত্বে রয়েছে এই বিভাগ।
> আরবারী কালচার: মাঠের গাছপালা লাগানো, এগুলোর যত্ন নেয়া, ঘাস লাগানো ও পরিচর্যা ইত্যাদি দায়িত্ত্ব পালন করে এই বিভাগ।
> ইলেক্ট্রনিক্স: বৈদ্যুতিক যাবতীয় কর্মকান্ড এই বিভাগের দায়িত্ত্বে রয়েছে। এছাড়া লেক এবং পুকুরের মাছের দেখাশুনার দায়িত্ত্বে রয়েছে এই বিভাগ।

পার্কের বিভিন্ন বিষয় তদারকির দায়িত্ত্বে রয়েছেন একজন কার্য সহকারী। ১০ জন মালি উদ্যানটির গাছপালা পরিচর্যার দায়িত্ত্ব পালন করছেন। তারা পূর্ত মন্ত্রণলয়ের অধিনে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আছে। তাদের বেতন স্কেল হল ৪১০০ টাকা। শাখা অফিসারের মাধ্যমে তারা বেতন পেয়ে থাকে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা :
-----------------
উদ্যানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ত্বে রয়েছেন ২২ জন আনসারের একটি দল এবং কিছু পুলিশ সদস্য। আনসাররা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিনে রয়েছেন। তারা তিনটি শিফটে ভাগ হয়ে তাদের দায়িত্ত্ব পালন করে। তাদের প্রধান দায়িত্ত্ব হল উদ্যানের নিরাপত্তার দিকটি দেখাশুনা করা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত রাখা। উদ্যানের পশ্চিমপ্রান্তে ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন, তবে তাদের প্রধান দায়িত্ত্ব হল গণভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। উদ্যানের নিরাপত্তার বিষয়ে তারা আনসার সদস্যদের সহায়তা দিয়ে থাকেন।

Map of জিয়া উদ্যান

Updates from জিয়া উদ্যান

Reviews of জিয়া উদ্যান

   Loading comments-box...

OTHER PLACES NEAR জিয়া উদ্যান