অবসর বিনোদন পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। প্রারম্ভে সীমিত পরিসরে বই থাকলেও এখন প্রায় ২৫ টি বিভাগে বিভিন্ন বইয়ের সমাহার রয়েছে এখানে। উপন্যাস, অনুবাদ, মাসুদ রানা, কুয়াশা, তিন গোয়েন্দা, হরর, সায়েন্স ফিকশন, সমগ্র, কমিকস, সাইমুম, দস্যু বনহুর, ইসলামী, গল্পগ্রন্থ, জীবনীগ্রন্থ, রম্য, ছড়া-কবিতা, নাটক, রুপকথা, ভ্রমণ-ইত্যাদি বিষয়ের প্রায় হাজার দুয়েক বই বর্তমানে এর সংগ্রহে আছে।এছাড়াও রয়েছে আড়াই শতাধিক ডিভিডি-তে দেশী-বিদেশী মুভি ও প্রামাণ্যচিত্রের আর্কাইভ।
অবসর বিনোদন পাঠাগার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।এটা কোন সংগঠন অথবা এর কোন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেই।পারিবারিকভাবে বই পড়া ও সংগ্রহ সহজতর করতে এবং নিজস্ব একটা গন্ডির মাঝে বইয়ের আদান-প্রদান যেন সুলভ হয় তার জন্য এই পাঠাগারের সৃষ্টি।আমরা চাই এমনিভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে একটি করে পাঠাগার গড়ে উঠুক।
ল্যাপটপ-কম্পিউটার-মোবাইলের যুগে এসে বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে এসেছে।অথচ বই পড়া মানুষের সর্বশেষ্ঠ শখ।বই-ই পারে জ্ঞানের চোখকে খুলে দিতে,নতুন সম্ভাবনার দিগন্তকে উন্মোচন করতে।মানুষের দর্শন, বিজ্ঞান, ধর্ম, ভালোবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন এই সব কিছুর খোঁজ পাওয়া যাবে বইয়ের মাঝে। প্রমথ চৌধুরীর ভাষায়-
“ধনের সৃষ্টি যেমন জ্ঞান সাপেক্ষ তেমনি জ্ঞানের সৃষ্টি মন সাপেক্ষ এবং মানুষের মনকে সরল, সচল, সরাগ ও সমৃদ্ধ করার ভার আজকের দিনে সাহিত্যের উপর ন্যাস্ত হয়েছে।”
আমাদের সবার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার।সেটা যেন শুধু পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ না থাকে বরং এর সাথে অন্যান্য বই আরো বেশী বেশী পড়তে হবে।ফেসবুকে এই পেইজের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ও বিদেশী ভাষার বিভিন্ন বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরতে।আমাদের এই প্রচেষ্টায় যদি একজন সত্যিকার বইপাঠক-ও বৃদ্ধি পায় তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।এই পেইজে কোন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড লিংক দেয়া হয়না, যদি কোন বই পছন্দ হয় দয়া করে কিনে নিয়ে পড়বেন।
একদিন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে একটি করে পাঠাগার থাকবে সেই সুদিনের স্বপ্ন দেখি।