নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত একটি অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। নোয়াখালী জেলার সোনাপুরে ১০১ একর জায়গা ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। এটি বাংলাদেশের ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৬ সাল থেকে। শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এখানে ১৪টি বিভাগ রয়েছে।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৮টি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে এখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠ দান করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত প্রায় ৬৫:৩৫। সবগুলো বিভাগে প্রায় ৭৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা আছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে উপকূলীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বলা হয়।
২০০১ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তর ১১টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বসিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-২০০১ কার্যকর হয়। ২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালের ৬ এপ্রিল তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ২৩ জুন ২০০৬ ইং প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম আরম্ভ করে। এগুলো হলো: কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স, ফার্মেসি, এপ্লায়েড কেমিষ্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল টেকনোলজি। ২০১০ সালে পঞ্চম বিভাগ হিসাবে মাইক্রোবায়লজি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালে গণিত ও ইংরেজি বিভাগ এবং ২০১২ সালে আরো তিনটি নতুন বিভাগ- ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশন সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড হ্যাজার্ড স্টাডিস, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন সহ বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ টি বিভাগ চালু আছে। নোবিপ্রবি আরও ৭টি নতুন বিভাগ খোলার অনুমতি পেয়েছে, অচিরেই সেইসব বিভাগের কার্যক্রম শুরু করবার আশা করা হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে এখানে চারটি বিভাগে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাপুর-চরজব্বার সড়কের পশ্চিম পাশে একশ একান্ন একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশে ভূমি উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানে একাডেমিক ভবন ও শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল এবং ডর্মিটরী নির্মিত হয়েছে।